শেরপুরের শ্রীবরদীতে জেইউবি ইটভাটার পাহারাদার সোহেল ওরফে বাবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই ইটভাটার মালিকের দুই ছেলেসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান, রোববার ভোরে শ্রীবরদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হাফিজুর রহমান (৪০), হারুনুর রশিদ (৩৭) ও ইটভাটার ম্যানেজার ইসরাফিল মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শ্রীবরদী থানায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুর বাবা গোলাপ আলী।
স্বজনরা জানান, শ্রীবরদীর জেইউবি ইটভাটায় আড়াই বছর ধরে পাহারাদারের চাকরি করছিলেন বাবু। ইটভাটার মালিকের দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল।
তারা জানান, ইটভাটার মালিক বাবুকে নির্দেশ দেন তার অনুমতি ছাড়া সন্তানদের কেউ যেন ইটভাটা থেকে ইট নিতে না পারে।
স্বজনদের অভিযোগ, বাবু মালিকের নির্দেশ মতো কাজ করতে গেলে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মালিকের ছেলেরা। এর জের ধরেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।
তারা বলছেন, একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়ে বাবুর পরিবার এখন দিশেহারা।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ইটভাটায় এসে নিখোঁজ হয় বাবু। শনিবার ইটভাটার একশ গজ দূরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তের স্বার্থে পলাতকদের নাম জানায়নি পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান, এজাহারভুক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামীদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।